অবষেশে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের

অবষেশে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের

 

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ যেন এক  ভুতুরে  ম্যাচ। যা দেখে মজা পেয়েছেন অনেক দর্শক ।২৭৭ রান করেও স্বস্তির জয় পেল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তুলল ২৪৬ রান। হারল ৩১ রানে। হায়দরাবাদের মাঠে ৩৫ হাজার দর্শক দেখলেন একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উঠল ৫২৩ রান। তবুও কারও শতরান নেই

টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। আর তার পরেই তাণ্ডব শুরু করেছিলেন সে দলের ব্যাটারেরা। শুরুটা করেছিলেন ট্রেভিস হেড। বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক এ দিন খুনে মেজাজে ছিলেন। ২৪ বলে ৬২ রান করেন। ন’টি চার এবং তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল যদিও রান পাননি। তিনি ১১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তিন নম্বরে নেমে অভিষেক শর্মা ২৩ বলে ৬৩ রান করেন। সাতটি ছক্কা মারেন তিনি। তিনটি চার মারেন অভিষেক

এডেন মার্করাম ২৮ বলে ৪২ রান করেন। মুম্বইয়ের কোনও বোলারই ছাপ ফেলতে পারেননি। তাঁদের দুর্দশা আরও বেড়ে যায় হেনরিখ ক্লাসেন মাঠে নামার পর। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার ৩৪ বলে ৮০ রান করেন। তিনি সাতটি ছক্কা মারেন। চারটি চার মারেন ক্লাসেন।

 

 

মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন কোয়েনা মাফাকা। ৪ ওভারে ৬৬ রান দিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য, জেরাল্ড কোয়েটজি এবং পীযূষ চাওলা। কিন্তু রান আটকাতে পারেননি কেউ।

হায়দরাবাদ ২৭৭ রান তোলার পর মনে করা হয়েছিল তারা হয়তো খুব সহজেই জিতবে। কিন্তু তা হয়নি রোহিত শর্মা, ঈশান পোড়েল, তিলক বর্মা, টিম ডেভিডেরা বিধ্বংসী মেজাজে খেলায়। রোহিত ১২ বলে ২৬ রান করেন। ঈশান ১৩ বলে ৩৪ রান করেন। ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন তিলক। ২২ বলে ৪২ রান করেন ডেভিড। কিন্তু মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক করেন ২০ বলে ২৪ রান। তাঁকেই মন্থর মনে হচ্ছিল বাকিদের তাণ্ডবে। শেষ পর্যন্ত যদিও দলকে জেতাতে পারেননি ডেভিডেরা। ৩১ রানে হারল মুম্বই। এখনও জয় অধরা মুম্বইয়ের। এই ম্যাচ হারে আরেক ম্যাচ জয় থেকে পিছিয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এখনো কোন ম্যাচ জিততে পরেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।