লোডশেডিং এর কবলে বাংলাদেশ

গরম শুরু হতে না হতে  লোডশেডিং এর কবলে বাংলাদেশ। দেশের কোনো কোনো জেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষকে এখনই দিনে চার  থেকে পাচ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে দিন কাটাতে  হচ্ছে।

অবশ্য দিনের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা এখনো উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেকে পৌঁছায়নি। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর একাংশ অলসই থাকছে। তবু লোডশেডিংয়ের কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। জ্বালানি আমদানির জন্য যথেষ্ট টাকা ও মার্কিন ডলার সরকার দিতে পারছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা এখন দিনে ১২ হাজার মেগাওয়াটের মতো। গ্রীষ্মকাল শুরু হলে অর্থাৎ এপ্রিলে তা বেড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াতে পারে। জ্বালানির সরবরাহ না বাড়ালে তখন লোডশেডিং পরিস্থিতি খারাপ হতে ।

ঢাকার বাইরে শহর এলাকায় লোডশেডিং করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পিডিবি, নেসকো ও ওজোপাডিকো।

বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্র বলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। গতকাল সোমবার দিনে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল বেলা তিনটায় ১২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ওই সময়ে সরবরাহে ঘাটতি ছিল ৭৫৭ মেগাওয়াট, যা লোডশেডিং দিয়ে পূরণ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার ছুটির দিনে রাত আটটায় সারা দেশে সর্বোচ্চ ১ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে

ঢাকায় বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে কোনো লোডশেডিং করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে দুই সংস্থা ডেসকো ও ডিপিডিসি। তবে কারিগরি কারণে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে।

 

শেরপুরে লোডশেডিং বেড়েছে। টাঙ্গাইল, পিরোজপুর, কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় কিছু কিছু করে লোডশেডিং করা হচ্ছে

 

কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট। এখন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোই বেশি চালানো হচ্ছে। সেখান থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন করা হচ্ছে প্রায় চার হাজার মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতের তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পিডিবির কাছে বড় অঙ্কের টাকা পায়। ওদিকে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নিয়মিত ডলার পাচ্ছে না তারা। ফলে তেলভিত্তিক কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।