হারের পথে বাংলাদেশ  

হারের পথে বাংলাদেশ

 

টেস্টে ম্যাচে বাংলাদেশ যেন এন রকম ,অন্য দল বাট করলে হয় বাটিং পিচ আর বাংলাদেশ ব্যাটিং করলে হয় বলিং পিচ। বাংলাদেশ ব্যাট করলে তারা বল দেখতে পায়না । ম্যাচ হারলে তারা বলে এই ম্যাচ থেকে আমরা ওনেক কিছু শিখেছি। এর পর থেকে ভাল খেলবো

 

 

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই শতরান ধনঞ্জয় ডি’সিলভা এবং কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই দুই ব্যাটারের শতরানে বাংলাদেশের সামনে ৫১১ রানের লক্ষ্য রাখে শ্রীলঙ্কা। যা তাড়া করতে নেমে ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে লিটন দাসেরা।টেস্টে এর আগেও বহু ব্যাটার দুই ইনিংসে শতরান করেছেন। তবে একই ম্যাচ একই দলের দুই ব্যাটার দুই ইনিংসে শতরানের ঘটনা খুব বেশি দেখা যায়নি। ১৯৪৭ সালে ইয়ান চ্যাপেল এবং গ্রেগ চ্যাপেল একই টেস্টের দুই ইনিংসে শতরান করেছিলেন। গ্রেগের একটি ইনিংসে দ্বিশতরানও ছিল। সেই কীর্তি ছুঁলেন মেন্ডিস এবং ডি’সিলভা। মেন্ডিসের কৃতিত্ব আরও বেশি। ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে কোনও ব্যাটার সাত বা তার নীচে ব্যাট করতে নেমে দুই ইনিংসে শতরান করেননি। মেন্ডিস সেই কাজটাই করলেন নাহিদ রানাদের বিরুদ্ধে

 

 

শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান করে। এর মধ্যে অধিনায়ক ডি’সিলভা করেন ১০২ রান। সাত নম্বরে নেমে মেন্ডিসও ১০২ রান করেন। দলের আর কোনও ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮৮ রানে। বাংলাদেশের প্রথম দিকের ব্যাটারেরা ব্যর্থ হন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ রান করেন। লিটন করেন ২৫ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে চার উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো। তিনটি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিতা এবং লাহিরু কুমারা।

 

দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে আবার শতরান করেন ডি’সিলভা (১০৮) এবং মেন্ডিস (১৬৪)। ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে করেন ৫২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দেয় ৫১১ রানের। সেই রান করতে নেমে দিনের শেষে ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন যে ভাবে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিলেন, তা বেশ বিস্ময়কর। নেমেই বড় শট খেলতে গেলেন তিনি। ক্রিজ় ছেড়ে এগিয়ে এসে মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় কভারে। শ্রীলঙ্কার ফার্নান্দো ইতিমধ্যেই তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন। চতুর্থ দিন শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য চাই পাঁচ উইকেট। বাংলাদেশ এখনও ৪৬৪ রানে পিছিয়ে।